ভারতের ঝাড়খণ্ডে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ ও পরে এ নিয়ে অভিযোগ করায় তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার মামলায় মূল আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার ১৬ বছরের ওই মেয়েটিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মূল আসামী ছিল ধানু ভুইয়া। এর আগে শনিবার পুলিশ এই মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, মেয়েটিকে অপহরণ করে একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেদিন মেয়েটির বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। তারা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন।
পরে ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়েটির বাবা-মা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।
অভিযোগ পেয়ে গ্রাম্য সালিশে অভিযুক্তদের কান ধরে একশোবার উঠ-বস করা এবং ৫০ হাজার রুপি জরিমানার শাস্তি দেয়া হয়।
পরে ক্ষিপ্ত এই অভিযুক্তরা মেয়েটির পিতামাতাকে মারধর করে এবং পরে মেয়েটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় থানার ওসি বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্ত মেয়েটির বাবা-মাকে পেটায়। এরপরে তারা মেয়েটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভারতে বছরে প্রায় ৪০ হাজার ধর্ষণের ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এর বাইরে আরও অনেক ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয় না বলেও ধারণা।