ভারতে রাজনীতিকরা আর ভোট চাওয়ার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করতে পারবেন না – এমনই এক রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। শুধু ধর্ম নয়, দেশে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ বা জাতিগোষ্ঠীর নামেও ভোট চাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সাম্প্রদায়িকতার দিক থেকে স্পর্শকাতর উত্তর প্রদেশে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের ঠিক আগেই এই রায় দেয়া হলো।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছেন, ভোট চাওয়ার সময় ধর্মকে ব্যবহার করলে তাতে নির্বাচনী আইনের অপব্যবহার করা হয়। তাই ধর্ম, গোত্র ও বর্ণের নামে ভোট চাওয়া যাবে না। নিষেধাজ্ঞার পরও কোনো প্রার্থী যদি ধর্ম বা গোত্রের নামের আশ্রয় নেয়, তবে সেই নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করা হবে।
৭ সদস্যের একটি বেঞ্চ এই রায় দেন বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ১৯৯৬-এর হিন্দুত্ব মামলায় বেশি কিছু পিটিশনের শুনানির সময় ওই বেঞ্চ ৪:৩ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বলেন, নির্বাচন একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রক্রিয়া। ফলে যে প্রার্থী এর নিয়ম ভঙ্গ করবেন তারই প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
এর আগে একই মামলায় বিচারপতি জেএস ভার্মার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ রায় দিয়েছিলেন, হিন্দুত্ব হলো জীবনযাপনের একটি প্রক্রিয়া। সেজন্য নির্বাচনে এর সামান্য প্রসঙ্গ টেনে আনা অবৈধ নয়।
তবে সোমবার ওই বেঞ্চই আবার বলেন, ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক একেবারেই ব্যক্তিগত। সুতরাং “এ ধরণের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করা রাষ্ট্রের জন্য নিষিদ্ধ।”