ধর্মের নামে রাজনীতি করে এমন দলকে নির্বাচনের সুযোগ না দেওয়া এবং তাদের নিবন্ধন বাতিলসহ নির্বাচন কমিশনকে ১০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন।
রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপে তারা এই প্রস্তাব দেয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে সকাল ১১টা থেকে এ সংলাপ শুরু হয়। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহানারা বেগম আলোর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেন।
তাদের প্রধান দাবিগুলো হচ্ছে: কালো টাকা, সন্ত্রাস এবং ধর্মের অপব্যবহারমুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, সেনা মোতায়েন না করে পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনী মোতায়েন করা, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। ভোটার সংখ্যার অনুপাত এবং প্রশাসনিক এরিয়া বিবেচনায় রেখে সংসদীয় সীমানা নির্ধারণ করা, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমাদানের ব্যবস্থা করা।
রোববার বিকেল তিনটা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসেছে কমিশন।
১৮ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বিকেলে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), ২০ সেপ্টেম্বর সকালে গণফ্রন্ট, বিকেলে গণফোরাম, ২১ সেপ্টেম্বর সকালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বিকেলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে ইসির সংলাপ হবে।
তবে বড় দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের তারিখ এখনও ঠিক হয়নি।
এর আগে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের পর গত ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে ইসি।