বিনামূল্যে ৯৯৯ নম্বরের ফোন সেবাটি চালু হওয়ার পর থেকেই, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার যেনো অন্ত নেই। পুলিশি সহায়তা, ফায়ার সার্ভিসের সেবা ও অ্যাম্বুলেন্স সবই মেলে এই একটি নম্বরে। অনেকেই মনে করেন এ নম্বরে ফোন দিলে হয়তো পাওয়া যাবে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। কেউবা আবার পুলিশি ঝামেলায় না জড়াতে এড়িয়ে চলেন এ সেবা।
তবে নম্বরটি চালু হবার পর থেকেই বিভিন্ন দুর্ঘটনাসহ নানা প্রয়েজনে ফোন করে সেবা নিয়েছেন বহু মানুষ।
তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সাংবাদিক মোস্তফা মল্লিক। বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন:
‘ধন্যবাদ ৯৯৯
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই গেটের ওপর দাঁড়িয়ে ঝালাইয়ের কাজ করছিলেন দু’জন শ্রমিক। বয়স ১৫/২০ এর মধ্যে। বিদ্যুতের মূল লাইন থেকে সংযোগ নিয়ে কাজ করছিলেন তারা। হঠাৎ বিকট শব্দের কারণে চারদিকের মানুষের দৃষ্টি পড়ে ওই গেটের দিকে। দু’টো তার একসঙ্গে লেগে যাওয়ায় একজন শ্রমিক মারাত্বক ভাবে আহত হন।
আশপাশের অসংখ্য মানুষ ছবি তুলছে, দেখছে। আমি রাস্তার এ পাড়ে। গ্রীলের ওপর দিয়ে রাস্তা পার হওয়াও সম্ভব নয়। সেবা চালু হওয়ার পর এই প্রথম ফোন দিলাম ৯৯৯-এ। ও প্রান্ত থেকে সালাম দিয়ে স্যার বলে একজন নারী জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি করতে পারি আপনার জন্য’?
আমি পুরো ঘটনা বলার পর তিনি বললেন, ফায়ার সার্ভিসে আপনাকে ট্রান্সফার করে দিচ্ছি। কিছুক্ষণ পর তিনিই আবার বললেন, ‘অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের লোক যাচ্ছে’।
কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে গাড়ি চালিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে এ পাড়ে আসতে হয়েছে আমাকে। এরই মধ্যে চলে গেছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। আসার পথে দেখলাম ফায়ার সার্ভিতের একটি গাড়ি ছেলেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে।’