ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আশা করছি, ভারতে আমার এবং বাংলাদেশে আপনার সরকারই, দ্রুত সম্ভব সময়ে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্ত করতে পারবো। এটি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
“আমি খুবই খুশি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এখানে উপস্থিত আছেন। যিনি আমার আমন্ত্রণে এখানে এসেছেন। আমি এটা জানি যে বাংলাদেশের প্রতি আমার যে ইতিবাচক মনোভাব, তার মনোভাবও একই। আমাদের দুই দেশ তাদের উল্লেখযোগ্য সীমানা শেয়ার করে।”
মোদি আরো বলেন, ‘২০১৫ সালের জুন মাসে যখন আমি বাংলাদেশে গিয়েছিলাম, আমি বাংলাদেশ ভারত স্থল-সীমান্ত চুক্তি শেষ করেছি এবং এর এটির বাস্তবায়ন এখন চলছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চাহিদাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অভিন্ন স্থলের মতো অভিন্ন নদীও জনগণের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কারণ এর উপর নির্ভর করে মানুষের জীবন ধারণ। এ জায়গা থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের তিস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি যে একমাত্র আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই পারে তিস্তা নদীর পানি সমস্যার সমাধান করছে। এবং আমরা তা করবো।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে তার সঙ্গে বৈঠকের পর হায়দরাবাদ হাউজে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বাংলাদেশের মানুষকে বাংলায় শুভ নববর্ষ জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আপনারা ঠিক এমন এক সময়ে ভারত সফরে এসেছেন যার কিছুদিন পরেই বাংলা মাসের নতুন বছর শুরু হচ্ছে। আপনাদের সবাইকে ‘শুভ নববর্ষের’ শুভেচ্ছা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গিদের ভারতে স্বাগতম জানাতে পারাটা আমাদের কাছে সত্যিই আনন্দের বিষয়। এই সফর ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কের এই অসাধারণ বিবর্তন এবং দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে নানা অর্জন আপনার অসাধারণ দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বীকৃতি দেয়।’
“মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত ভারতের সৈন্যদের সম্মানিত করার যে সিদ্ধান্ত আপনারা নিয়েছেন তা ভারতের প্রতিটি মানুষকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। প্রতিটি ভারতবাসী এই বিষয় ভেবে গর্ব বোধ করে যে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বাধীন করতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ভারতীয় সেনারাও প্রাণপনে যুদ্ধ করেছিলো। নতুন ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হবে। বাংলাদেশ ও এর মানুষের সমৃদ্ধির জন্য ভারত সব সময় কাজ করেছে। আমাদের এই সম্পর্কের সুফল দুই দেশের জনগণ পাবে।”
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:
https://youtu.be/1z0X4imYCwY