চেন্নাই সুপারকিংসের কাছে হেরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঝুলে আছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ভাগ্য। একাদশ আইপিএলের ফাইনালে খেলতে শুক্রবার সাকিবদের নামতে হবে বাঁচা-মরার ম্যাচে। সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ হিসেবে কেকেআরকে পাচ্ছে হায়দরাবাদ।
বুধবার এলিমিনেটরে রাজস্থান রয়্যালসকে ২৫ রানে হারিয়ে সাকিবদের প্রতিপক্ষ হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। মাত্র ৫১ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে অধিনায়ককে সঠিক প্রমাণ করেছিলেন বোলাররা।
দলের বিপর্যয়। মান বাঁচাতে লড়তে হল কলকাতা অধিনায়ক দিনেশ কার্তিককে। সেই পথে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫২ রান তো করেছেনই, দলকে এনে দিয়েছেন ৭ উইকেটে ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজিও। ৩৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো কার্তিকের ইনিংস।
কার্তিককে যথাসময়ে যোগ্য দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। ২৫ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৯ রানের মারকাটারি অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
রাজস্থানের সেরা বোলার কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৩৩ রানে সমান উইকেট শিকার জফরা আর্চারেরও।
কলকাতার রানের জবাব শুরুতে ভালোই দিচ্ছিল রাজস্থান। রাহুল ত্রিপাঠিকে নিয়ে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের সম্ভাবনা জাগান রাহানে। ৪৬ রান করে রাহানে ও ২০ রানে রাহুল ফিরলে হাল ধরেন সাঞ্জু স্যামসন। ৩৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রানে স্যামসন ফিরলে ভেঙে যায় রাজস্থানের প্রতিরোধ।
রাজস্থানের আর কোনো ব্যাটসম্যানই শেষদিকে দাঁড়াতে পারেননি। তাতে লক্ষ্য থেকে ২৫ রানে দূরেই থামে দলটির ইনিংস।
বোলিংয়ে কলকাতার জয়ের নায়ক হতে পারেন কুলদ্বীপ যাদব। যার কারণে হাতে ছয় উইকেট থাকার পরও বেশিদূর এগোতে পারেনি রাজস্থান। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ১ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের রানের গতিতে লাগাম টেনেছেন এ চায়নাম্যান বোলার। ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে পীযূষ চাওলাও অবদান রেখেছেন।