কানাডার জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। চূড়ান্ত গণনায় ৩৩৮টি আসনের মধ্যে ১৫৭টি আসন পেয়েছে দলটি।
টানা ৪০ দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সোমবার দেশটির ৪৩তম সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন প্রদেশে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।
কানাডার এবারের জাতীয় নির্বাচনে মধ্য-ডানপন্থি কনজারভেটিভ দলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে লিবারেল পার্টি। নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৭০ আসনে জয় প্রয়োজন। ফলে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হচ্ছে দলটিকে।
সংখ্যালঘু, নাকি জোট সরকার?
সংখ্যালঘু সরকার গঠনের পর এ মেয়াদে বেশ কঠিন সময় পার করতে হবে ট্রুডোর দলকে। বিশেষ করে যে কোনো আইন পাসে অন্যান্য দলের শরণাপন্ন হতে হবে তাদের। কেননা লিবারেল পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও বাকি দলগুলোর মিলিত আসন সংখ্যা এর চেয়ে বেশি (১৮১)। তাই সংখ্যালঘু সরকারের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টে উত্থাপিত যে কোনো প্রস্তাবনা বা বিল বাকি দলগুলোর এমপিরা চাইলেই একজোট হয়ে নাকচ করে দিতে পারেন।
১২১টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে দেশটির কনজারভেটিভ পার্টি। নির্বাচনে জয়ী না হলেও গতবারের চেয়ে ২৬টি আসন বেশি পেয়েছে তারা। আর ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি হারিয়েছে ২০টি আসন। নির্বাচনে অন্যান্যদের মধ্যে নিউ ডেমোক্রেটিক ২৪টি, ব্লক কুইবেকোয় ৩২টি, গ্রিন পার্টি ৩টি ও পিপলস পার্টি অব কানাডা ১টি আসন পেয়েছে। অর্থাৎ মোট ১৮১টি আসন।
ফলে আপাতত বিরোধী দলগুলোই মিলিতভাবে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
এই সংখ্যালঘুত্বের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে লিবারেল পার্টি অন্য এক বা একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে জোট সরকার গঠন করতে পারে। তাহলে সেই জোট গঠিত সরকার আবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে।
তবে এখনো এমন কোনো ইঙ্গিত দেয়নি লিবারেল পার্টি বা তার নেতা।
জয় নিশ্চিতের পর মঙ্গলবার মন্ট্রিলে এক সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পুনরায় নির্বাচিত করায় সমর্থকদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, তার সরকার সব কানাডীয়র জন্য কাজ করবে।
দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হওয়ায় ট্রুডোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুভেচ্ছাবার্তায় ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।