দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় ১ শিশুসহ ২ জন নিহত হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে আবারো সহিংসতা। যশোরে চারতাই ইউনিয়নের ভাতুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট চলাকালে বোমা হামলা চলায় দুর্বৃত্তরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায় পুলিশ। সংঘর্ষে পড়ে মুজিবুর রহমান নামে এক পাপড় বিক্রেতা নিহত হন। কেরাণীগঞ্জের হজরতপুরে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ১০ বছরের শিশু।
এর আগে বুধবার রাতে যশোরের লেবুতলা আন্দোলপোতা মাঠে ইউপি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে নিহত ২ নিহত হয়। আহত হয় ৩ জন।
বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। যশোরে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নে বড় কয়রা ভোট কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় বন্ধ করে দেয়া হয় ভোট গ্রহণ। বহুলী ইউনিয়নের ধীতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সময় গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে।
জামালপুরের মেলান্দা উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নে মামা-ভাগ্নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
মাদারীপুরে তাঁতীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
চাঁদপুরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের লোদেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
শেরপুরের শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নে কেন্দ্র দখল নিয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
এর আগে ৬৪৩ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮ টায়। পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন ভোটাররা। প্রথমবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও ভোটযুদ্ধ মূলত নৌকা আর ধানের শীষে।
নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দেড় লাখ সদস্য।