রেকর্ড ব্যবধানে প্রথম টেস্ট জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষেও ভালো জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বার্বাডোজে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭৭ রানে শেষ হয়েছিল ইংল্যান্ডের ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টেও অব্যাহত ক্যারিবিয়ান পেসারদের দাপট।
অ্যান্টিগায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ১৮৭ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ উইকেটে ২৭২। অর্থাৎ দ্বিতীয় দিনের শেষে গুরুত্বপূর্ণ ৮৫ রানে লিড পেয়েছে হোল্ডারের দল।
নিজেরা অল্পতে আটকে যাওয়ার পর ক্যাচ নষ্টের প্রদর্শনী না করলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও অল্প রানে বেঁধে রাখতে পারত ইংল্যান্ড। সফরকারী দলের তিন-তিনটি ক্যাচ মিস দ্বিতীয় টেস্টেও এগিয়ে দিতে সাহায্য করে ক্যারিবিয়ানদের। কোনও ব্যাটসম্যান অর্ধশতরানের গন্ডি না পেরোলেও প্রথম দুটি উইকেটে মূল্যবান পার্টনারশিপ ও দিনের শেষে চলতি সপ্তম উইকেটে অবিভক্ত ৫০ রানের জুটি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় ইংল্যান্ডকে।
১৮৭ রানের জবাবে ওপেনিং পার্টনারশিপে গুরুত্বপূর্ণ ৭০ রান তোলেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার। ৪৭ রানে ক্যাম্পবেল আউট হওয়ার পর হোপের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রান যোগ করে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে ফেরেন ব্র্যাথওয়েট। এরপর ৪৪ রানে আউট হন সাই হোপ, মাত্র ৪ রানে চেসকে সাজঘরে ফেরান ব্রড।
প্রথম টেস্টে মাঠে বাইরে থাকা ব্রডই সবচেয়ে উজ্জ্বল ইংলিশ বোলিং বিভাগে। ব্রডের ৩ উইকেটের পাশাপাশি মূল্যবান দু’টি উইকেট নেন স্পিনার মঈন আলি।
এর আগে দিনের শুরুতে একাধিকবার সুযোগ দিয়েও জীবন ফিরে পান ক্যারিবিয়ান ওপেনার জন ক্যাম্পবেল। ইংলিশ বোলারদের হতাশা বাড়িয়ে মূল্যবান ৪৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর দিনের শেষে ব্রাভো-হোল্ডারের অবিভক্ত ৫০ রানের পার্টনারশিপ হতাশা আরও বাড়িয়ে দেয় অ্যান্ডারসন-ব্রডদের।
চার ঘন্টা ক্রিজে থেকে দিনের শেষে ৩৩ রানে অপরাজিত ব্রাভো। দিনের শেষে অধিনায়ক অপরাজিত রয়েছেন ১৯ রানে।