যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ই-মেইলে আফগান দোভাষীর ব্যক্তিগত পরিচয় ও তথ্য লঙ্ঘণের বিষয়টি উন্মোচিত করেছে বিবিসি।
বিবিসি জানিয়েছে, আফগান রিলোকেশন অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্স পলিসি (আরাপ) এর অধীনে যুক্তরাজ্যে আসার যোগ্য হতে পারে এমন কয়েক ডজন আফগানকে ভুলবশত এই মাসের শুরুতে একটি ইমেইল কপি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি ইমেইলের অনুলিপি ভুলবশত অন্য ঠিকানায় পাঠানো হয়। দোভাষীদের অবস্থান ও পরিচয়সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তারা বিপদে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে আফগান দোভাষীর ইমেইলের ঠিকানা নিয়ে তথ্য লঙ্ঘনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস।
আফগানিস্তানের আড়াই শতাধিক দোভাষী যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে আগ্রহী। তাদের মধ্যে আবার অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক ইমেইলে ‘ভুলবশত’ তাদের সবার ইমেইল ঠিকানা কপি করে বসানো হয়েছিল।
এর ফলে পাঠানো ইমেইলটির সব প্রাপকরাই দোভাষীদের সবার ইমেইল ঠিকানা, সেখানে থাকা নাম ও কারও কারও ছবিও দেখতে পাবেন।
এ ঘটনার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। ইমেইলটি আফগানিস্তানে থাকেন, এমন দোভাষী অথবা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছেন, এমন দোভাষীদের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল দলের পার্লামেন্ট সদস্য এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জনি মার্কার বলেছেন, দোভাষীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। এ ধরনের ইমেইল যাওয়ার পর অনেকেই ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন।
যুক্তরাজ্যের আফগান রিলোকেশনস অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্স পলিসির দায়িত্বে থাকা একটি দল এই ইমেইল পাঠিয়েছিল। গত মাসে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে এই দল দোভাষীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছিল।
তবে এই ইমেইল পেয়েছেন—এমন একজন দোভাষী জানান, আড়াই শতাধিক আফগান, যারা ব্রিটিশ বাহিনীর জন্য কাজ করেছেন, তারাও ইমেইলের এমন কপি পেয়েছেন।
একজন দোভাষী বিবিসিকে জানান, এ ধরনের ভুল দোভাষীদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। বিশেষ করে যারা আফগানিস্তানে রয়েছেন, তারা বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য ভুল বোঝার পরই ৩০ মিনিটের মধ্যে আরও ইমেইল পাঠায়। এতে আগের ইমেইল মুছে ফেলতে অনুরোধ জানানো হয়। দোভাষীদের নিজেদের ইমেইলের ঠিকানা মুছে ফেলার জন্যও সুপারিশ করা হয়।