সিআইডি’র আবেদনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফানের মরদেহ পুনঃময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।
হত্যার অভিযোগ এনে দিয়াজের মায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। ৬ ডিসেম্বর সিআইডি দিয়াজের মরদেহের পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত তিনজনের প্রতিনিধিদল পুনঃতদন্ত করবে।
দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে এমন আলামত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মেলেনি বলে জানিয়েছিলো পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দেন চিকিৎসকেরাও। তবে ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের পরিবারসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশ। তাদের দাবি লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কোনো মিল নেই।
২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট এলাকার নিজ বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ২২ দিন আগে দিয়াজসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের চার নেতার বাসায় তাণ্ডব চালানো হয়। ৯৫ কোটি টাকার দরপত্রের ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী নেতা-কর্মীরা ওই হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যা্লয়ে একটি নির্মাণ কাজের জন্যর ৯৫ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দিয়াজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যারলয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর বিরোধ চলছিল।
সেই বিরোধ, চাঁদা দাবিসহ নানা কারণে ‘ষড়যন্ত্র’ করে টিপুকে হত্যার পর লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে দাবি দিয়াজের পরিবারের।
দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনায় তার মা গত ২৪ নভেম্বর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছাত্রলীগ নেতা টিপু ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাীলয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ ১০ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।