ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থেকে যেতে ব্রিটেনে দ্বিতীয়বার গণভোটের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন পদত্যাগের ঘোষণা দেয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, দ্বিতীয়বার ভোটের ব্যাপারটি তাদের পরিকল্পনার ধারে কাছেও নেই।
ইইউ-তে থেকে যেতে আলোচনার আহ্বানের পর ব্রিটেন-ইইউ ‘ডিভোর্স’ নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা শুরু হওয়ার পর ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।
ব্রেক্সিটের পর আজ সোমবার প্রথমবারের মতো সংসদীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এই বৈঠকেই পুনরায় ইইউ-তে যোগ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা। এরজন্য প্রয়োজনে সরকারের একটি বিশেষ ইউনিট গড়ে তোলার কথা বলে তারা।
দেরীতে বোধোদয় হলেও বাস্তবতা এখন আর ব্রিটেনের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে না। গণভোটের পর দু’বছরের মধ্যে ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে ব্রিটেনকে তাগাদা দিচ্ছে ইইউ। এই অবস্থায় পুনরায় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ব্রিটেনকে আগে ইইউ ছাড়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সাফ বলে দিয়েছেন এসব এখন আর তার দেখার বিষয় নয়। আগামী প্রধানমন্ত্রীর কাছেই এই গুরুদায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। আর এজন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত। কারণ অক্টোবর নাগাদ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হবেন এবং প্রথা মতে তিনিই হবেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
গণভোটের ফলাফলে প্রায় ৫২%-৪৮% ব্যবধানে ইইউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জয় পাওয়ার পর গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে অক্টোবরে পদত্যাগের পর তার উত্তরসূরি এসে ব্রেক্সিট আলোচনা এগিয়ে নেবেন – ক্যামেরনের এই ঘোষণার কারণে ব্রিটেনের ইইউ ত্যাগ প্রক্রিয়া দীর্ঘ হবে বলে সাবধান করেছেন ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলজ।
মার্টিন জানান, কোনো দেশের ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের প্রক্রিয়াটি দ্রুততর করার জন্য লিসবন চুক্তির ৫০ নং ধারায় কোনো সুযোগ রয়েছে কিনা ইইউ’র আইনজীবীরা তা খতিয়ে দেখছেন।