দেশের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন নদী পারাপার হয়। ঈদের আগে ও পরে এর চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
বুধবার ঈদের অষ্টম দিনেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে কর্মস্থলমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে সড়কে আটকা পড়েছে ছোট-বড় কয়েকশ’ যানবাহন।
অন্যদিকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে লঞ্চ ঘাট কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই দুপুরের পর যানবানের সারি দৌলতদিয়া প্রান্তে দীর্ঘ হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকায় কর্মস্থলমুখী এসব যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া সড়কে ছোট গাড়ী, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, যাত্রীবাহী বাস এবং কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক দৌলতদিয়া প্রান্তে সিরিয়ালে আটকা পড়েছে বলে দেখা গেছে। সময় যত বাড়বে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ততই বাড়বে বলে ধারণা ঘাট কর্তৃপক্ষের।
অপরদিকে ঘাট এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে: দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি পারের অপেক্ষায় বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ তিন থেকে চারশ’ যানবাহন দৌলতদিয়া প্রান্তে সিরিয়ালে রয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে: বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ২০টি ফেরি ও ৩৪ টি লঞ্চ চলাচল করছে এবং ৬টি ফেরি ঘাটের ৬টি ঘাটই সচল রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম (মেরিন) আব্দুস সোবাহান বলেন: নদীতে পানি কমার কারণে দৌলতদিয়ার ফেরি ঘাটগুলো খাড়া হয়ে যাওয়ায় যানবাহন ওঠা নামায় ব্যাঘাত ঘটছে। বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে সমন্বয় করে ঘাটগুলো সচল রাখার চেষ্টা চলছে।