চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দেড় শতাধিক ট্রাকে টিসিবি’র পণ্য

রমজান উপলক্ষে সারাদেশ ১শ’ ৭৪ টি ট্রাকের মাধ্যমে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবি’র বিক্রি করা পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে চিনি, সয়াবিন তেল, মশুর ডাল, খেজুর ও ছোলা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে বিক্রি কার্যক্রম।

তবে পণ্যের পরিমাণ কম থাকায় আগেই সব বিক্রি হয়ে বলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিক্রি বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট ডিলাররা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকেই পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যান। এদের মধ্যে একজন রিক্সাচালক নুরুল।

তিনি জানান, ১২টার পর লাইনে দাঁড়িয়েও কিছু কিনতে পারিনি। কারণ সময়ের আগেই সব মাল শেষ হয়ে গেছে।

শুধু নুরুল নয় এভাবে অনেকেই ফেরত যেতে হয়। এ ব্যপারে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ন করির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ডিলাররা প্রতিদিন তাদের মালামাল বিক্রির পর ব্যাংকে টাকা জমা দেন। এ জন্য দুপুর ১টার মধ্য সবকিছু ক্লোজ করে দিতে হয়। তবে কেউ যদি লাইনে দাঁড়িয়ে যায় তাকে অবশ্যই জিনিসপত্র দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশের টিসিবির নির্ধারিত কোনো ডিলার অনিয়ম করলে আমরা ব্যবস্থা নেই। তবে কোনো ডিলার বিক্রি শুরু করলে তা স্থানীয় জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে বিক্রি করা হয় তাই অনিয়মের সুযোগ কম।

ঢাকায় ২৫টি, চট্টগ্রামে ১০টি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ৫টি করে এবং বাকী জেলাগুলোতে ২টি  ট্রাকে পণ্য বিক্রয় করছে টিসিবি। এছাড়াও সারাদেশে নির্ধারিত ৩ হাজার ৫৪ জন ডিলার পণ্য বিক্রি করছে।  

টিসিবি প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে ৪ কেজি চিনি, ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মশুর ডাল ও ২ কেজি খেজুর বিক্রি করছে।

১ ও ২ লিটারের  প্রতি বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৯ টাকা। ৫ লিটারের বোতল প্রতি লিটার ৮৮ টাকা। প্রতি কেজি  চিনি ৩৭ টাকা, মুশুর ডাল কেজি ১০৩ টাকা,  ছোলা প্রতি কেজি ৫৩ টাকা এবং  প্রতি কেজি খেজুর  ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছে টিসিবি।

রাজধানীর প্রেসক্লাব, সচিবালয়ের সামনে, কাপ্তান বাজার, শাপলা চত্ত্বর, মতিঝিল, ফকিরাপুল বাজার ও আইডিয়াল জোন, দৈনিক বাংলা মোড়, শান্তিনগর বাজার, শাহজাহানপুর বাজার, বাসাবো  বাজার, শেওড়াপাড়া, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ ও পলাশী বাজার, মিরপুর-১২ নম্বর, খামার বাড়ী, ফার্মগেট, কলমিলতা সুপার মার্কেট, তেজকুনি পাড়া, মহাখালী কাঁচাবাজার, রামপুরা, মালিবাগ বাজার, আগারগাঁও বাজার, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট মিরপুর-১, কচুখেত বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল ও ঝিগাতলা কাচাবাজার, মিরপুর ১০ নাম্বার গোলচত্ত্বর, আব্দুল্লাহপুর বাজার, উত্তরা, গোপীবাগ কমিউনিটি সেন্টার, কালশী বাজার মোড় ও গোলাপশাহ মাজার এলাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।

ভোক্তারা জানায়, বিক্রির সময় বাড়িয়ে দেওয়া এবং বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা থাকলে সাধারণ ক্রেতারা এতে সুবিধা পেতো।