‘অস্ত্রের ঝনঝনানি, মারামারি, খুনোখুনি ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য ছাত্র রাজনীতি না, কিভাবে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে ও কিভাবে সমাজের উন্নয়ন হবে তার জন্য ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন। ছাত্ররা কোন দলের হয়ে রাজনীতি করবে না, তারা দেশ ও সমাজের উন্নয়ন এবং নিজেদের অধিকার আদায় করার জন্য রাজনীতি করবে। এজন্য দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন।’ আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ৪৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে মুুহিত আরও বলেন, ‘আগামী বাজেটে জিডিপি ৭.৫ শতাংশ উন্নীত হবে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য আলাদা বাজেট ঘোষণা করা হবে। কিন্তু যারা টাকা নিয়ে বসে আছেন তারা যদি সঠিক খাতে বিনিয়োগ না করেন তাহলে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যাবে। এজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা দরকার বলে মনে করেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে প্রচুর টাকাওয়ালা লোক আছেন। কিন্তু তারা টাকা অলস রেখেছেন। বিনিয়োগ করছেন না। আবার কিছু টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। তবে এটি আমাদের নিজেদের দোষেও হয়। আশা করছি, দোষটি আগামী তিনমাসের মধ্যে অপসারিত হবে। এর ফলে বিদেশে টাকা পাচার ব্যাপকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স’র ফেলো ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠ্যক্রম সমাপ্ত করে ডিগ্রি অর্জনের স্থান নয়। এটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার ভূমি। এজন্য বিশ্বায়নের যুগে দেশকে এগিয়ে নিতে ৩২ কোটি হাতকে জোরালোভাবে ব্যবহার করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল খায়ের, রেজিষ্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক, ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের পক্ষ থেকে গত ৩০ মার্চ অর্থমন্ত্রীর দেওয়া স্নাতক পর্যায়ে টিউশন ফি পাঁচগুণ বৃদ্ধির বক্তব্য প্রত্যাহার ও সেইসাথে তিনদফা দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।