জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে ৩ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গতবছর ১৪২তম অবস্থানে থাকলেও এবার ১৩৯তম অবস্থান। এমন উন্নতিতে জাতিসংঘ মনে করছে, বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হতে পারে। ২৫ বছর ধরে মানব উন্নয়ন সূচকের রিপোর্ট দিয়ে আসছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে পাকিস্তান এবং নেপাল। ভারত ১৩১তম হয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও মাথাপিছু আয় বাদে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে বাংলাদেশ। জনবহুল ও ঘটনাবহুল একটি দেশের জন্য বিষয়টি নি:সন্দেহে ইতিবাচক। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও চোখে পড়ার মতো। ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদ একটি বড় হুমকি হলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগবান্ধব একটি পরিস্থিতির কারণে দেশে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বড় বড় বৈদেশিক বিনিয়োগ হচ্ছে। আজই জানানো হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তিখাতে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন। আর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর উদাহরণ জাতির সক্ষমতার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। তবে এতো ইতিবাচক উদাহরণের মধ্যেও রয়েছে নানা অসঙ্গতি। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে আইনের শাসনের যেসব সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলমান তা দূর করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। বিভিন্ন ঘটনায় জনপ্রশাসন ও ভিন্ন ভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব কাজ করা দরকার, তার অনেক কিছুই পালনে মহামান্য আদালতকে স্বপ্রণোদিত হয়ে নয়তো রিট আবেদনের পরে নির্দেশ দিতে দেখা যায়। এছাড়া জনগণের সেবার জন্য কাজ করা প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার দুর্নীতির চিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে, তাও সমাধান হওয়া জরুরি। এসব বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ সুপরিকল্পিতভাবে দায়িত্ব পালন করলে দেশের অগ্রগতি একটি স্থিতিশীল গ্রাফে চলে আসবে বলে আমাদের আশাবাদ।