কোভিড-১৯-এর সবচেয়ে সংক্রমণশীল ধরন ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। দেশে গত এক সপ্তাহে এর প্রভাবে করোনায় আক্রান্তের হার ৫৫ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে। মৃত্যুর হার বেড়েছে হয়েছে ৪৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এছাড়া এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হারও বেড়েছে। এ হার ২২.১৪ শতাংশ।
শনিবার বিকেলে এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারের ওপর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত দেশে সংক্রমণের ২৪তম সপ্তাহে এক লাখ ৪৯ হাজার ১৪০টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩ হাজার ৫৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৯৫ জনের। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ১২২ জন।
এর আগে ৬ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সংক্রমণের ২৩তম সপ্তাহে এক লাখ ২২ হাজার ১০৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫ হাজার ১৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ২৭০ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৬ জনের। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৭ জন। ফলে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আট লাখ ৪৮ হাজার ২৭ জনে।
তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৭২৫ জনসহ মোট সাত লাখ ৮০ হাজার ১৪৬ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৬৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৬৪ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ৫৭ জন, বেসরকারীতে সাত জন) ও বাড়িতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৬৬। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত নয় হাজার ৬৫৭ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং তিন হাজার ৮০৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৬৭ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৭ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে আটজন, খুলনা বিভাগে ২৪ জন, সিলেট বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে আটজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।