সাগরে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার আরো ১৫৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত আনার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। পতাকা বৈঠকের পর বিজিবি’র কাছে বাংলাদেশীদের হস্তান্তর করে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগ। বিকাল ৫টার দিকে তাদের বাংলাদেশের ভূ-সীমানায় আনা হয়।
মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া সীমান্তে প্রায় ২ ঘন্টার বৈঠক শেষে দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটে হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসে বিজিবি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে বাংলাদেশের ১০ সদস্যে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ১৭ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবিউল ইসলাম। মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমার ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক চ. নারিং।
ফেরত আনা বাংলাদেশীদের মধ্যে দেশের ১৪ টি জেলার নাগরিক রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ৪১ জন, জিনাইদাহের ১২ জন, মাদারীপুরের ১৫ জন, কুষ্টিয়ার ৪ জন, মাগুরার ৪ জন, পাবনার ১২ জন, যশোরের ৯ জন, সিরাজগঞ্জের ২৪ জন, চুয়াডাঙ্গার ১১ জন, কুমিল্লার ৫ জন, জয়পুরহাটের ৪ জন, সুনামগঞ্জের ৮ জন, সাতক্ষীরার ২ জন ও ফরিদপুরের ৪ জন রয়েছে বলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ জানিয়েছেন। ফেরত আনা বাংলাদেশীদের কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সীমান্ত এলাককায় উপস্থিত থেকে ১৫৫ বাংলাদেশীকে বুঝে নেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ।
অস্থায়ীভাবে তাদের দেখাশোনা করবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আই ও এম।
১৭ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে মিয়ানমার। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশী হিসেবে শনাক্ত ১৫০ জনকে ৮ জুন এবং ৩৭ জনকে ১৯ জুন ফেরত আনা হয়। ২৯ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে দেশটির নৌ-বাহিনী আরো ৭২৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। এদের মধ্য থেকে ১৫৫ জনকে ফেরত আনা হলো। এ নিয়ে ৩ দফায় বাংলাদেশ ৩৪২ জন নাগরিক কে ফেরৎ আনলো।