দুই দফা সময় পেছানোর পর অবশেষে দেশে ফিরলো মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া আরও ১৫৯ বাংলাদেশী অভিবাসী। বাংলাদেশের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়ায়া যান।
প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি)-১৭ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রবিউল ইসলাম।
গত ৩০ জুলাই ও ৫ আগস্ট চতুর্থ বারের মতো উদ্ধার হওয়া এসব বাংলাদেশীকে ফেরত আনার কথা ছিল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও কূটনৈতিক কারণে তা স্থগিত করা হয়।
ফেরত আসা ১৫৯ জনের মধ্যে ১০ জেলার বাসিন্দা রয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদীর ৮০ জন, চট্টগ্রামের ১৮ জন, হবিগঞ্জের ১৭ জন, কিশোরগঞ্জের ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জের ১২ জন, ফরিদপুরের ১২ জন, শরীয়তপুরের ৩ জন, নওগাঁর ২ জন, নাটোরের ১ জন ও বরিশালের ১ জন। অপ্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে ১৬ জন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও একজন চিকিৎসক ছিলো। আর মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট পরিচালক ইউ স নাইং।
গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরও ৭২৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীদের উদ্ধার করে দেশটির নৌবাহিনী। যার মধ্যে ৮ ও ১৯ জুন এবং ২২ জুলাই তিন দফায় দেশে ফেরত আনা হয় ৩৪২ জনকে। বাংলাদেশী হিসেবে শনাক্ত হওয়া চতুর্থ বারের মতো আজ ১৫৯ জনকে ফেরত আনা হলো।