করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ধাক্কায় বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হওয়াতে আবারও কঠোর বিধিনিষেধে এসেছিল বহু দেশ। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়াতে এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ইতিবাচক পদক্ষেপে ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ শিথিল হতে শুরু করেছে।
তবে লক্ষ্যণীয় যে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বিশ্বে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি মিলেছে। আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মৃত্যু ও সংক্রমণ যথারীতি বেশি। তারপরেও আক্রান্তের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। ভ্যাকসিন না নেয়া মানুষদের মৃত্যুর হার বেশি বলেও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেশি দেশ ভারতেও করোনার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। সেখানে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র খুলে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রমের এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে তারা।
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে। হঠাৎ করে ৩০ শতাংশের বেশি আক্রান্ত হওয়াতে নতুন করে বিধিনিষেধ দিতে হয়েছে সরকারকে। যা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর আছে। তবে গণপরিবহন ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার নিয়ম তুলে দেয়া হয়েছে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়াতে। এখন শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছাড়া প্রায় সবকিছুই স্বাভাবিক বলা যায়।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অতিমাত্রায় সংক্রামক হওয়াতে পুরোবিশ্ব নতুন ধাক্কা খায়। প্রিয়জনের মৃত্যু আর অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে করোনাকালে যে ভয়াবহ ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববাসী তা হয়তো খুব দ্রুতই সামলে ওঠা সম্ভব না, কিন্তু করোনা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের নানা বক্তব্যে আশার আলো দেখছে সবাই।
স্বাস্থ্যবিধি মানা আর ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদারের বাইরে করোনা থেকে মুক্তি নেই। এই ভাইরাসকে মানিয়ে নিয়ে হয়তো আরও কিছু বছর জীবনধারণ করতে হবে বিশ্ববাসীকে, বাংলাদেশও এর বাইরে না। সচেতন হয়ে ও সতর্কতা অবলম্বন করে চললে প্রায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।