চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দেশে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে: বিশ্বব্যাংক

দেশে দেশে না খেয়ে মানুষ মারা যেতে পারে এমন অশনি সংকেত দিয়েছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ।

বহুজাতিক সংস্থা দুটির বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান নির্বাহীরা বলেছেন, ৪৮টি দেশ চরম খাদ্য অনিশ্চয়তায় রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সভ্যতার পেছনের দিকে যাত্রা হতে পারে বলেও শঙ্কা তাদের। কোটি মানুষকে ক্ষুধার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেওয়ার সব দরজা এখনও বন্ধ হয়নি বলে মনে করে আইএএমএফ, বিশ্বব্যাংক। কিন্তু সেজন্য দরকার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সংকটকালে কোন দেশের অতিরিক্ত ঋণ দরকার হলে ইতস্তত না করারও আহবান জানিয়েছেন সংস্থাদুটির প্রধান কর্তারা।

প্লেনারি সেশনের আগের দিন বৃহস্পতিবার বৃষ্টি স্নাত সকালে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং আইএমএফ ব্যস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলন। লিখিত বক্তব্যে আইএমএফ এমডি বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে না নিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনেক দেশে এরই মধ্যে মন্দাবস্থা সৃষ্টি করেছে। করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৯৩টি দেশকে ২শ ৬০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত সম্পর্কিত আরেকটি তহবিল থেকে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য ৪০ বিলিয়ন ডলারের যোগাড় হয়েছে বলে জানান আইএমএফের এমডি ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। ঋণ দেওয়ার মতো আরো ৭শ বিলিয়ন ডলার আছে আইএমএফ এর হাতে।

বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস জানান, ২০ বিলিয়ন ডলার থেকে শুরু যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি বড় দাতা দেশের সহযোগিতা এবং ঋণের কিস্তি থেকে আয় সব মিলে এখন বহুজাতিক ব্যাংকটির ঋণযোগ্য তহবিলের আকার ৮শ বিলিয়নের ওপরে। ঋণ দিয়ে এবং ঋণের বোঝা কমিয়ে সদস্যদেও স্বস্তি দেওয়াটা নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি।

১৯৩ টি সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা যোগ দিয়েছেন বার্ষিক সম্মেলনে।