দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৬০তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৯৮৯ জনে।
করোনায় গত মাসের ১৯ তারিখ সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৯ হাজার ৪৪৭টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৫৭৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪৪ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮৪ টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬১ লাখ ২৬ হাজার ২৩৮টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন আট লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৬১ জনসহ মোট সাত লাখ ৫৯ হাজার ৬৩০ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩৭ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ৩১ জন, বেসরকারীতে ছয় জন) ও বাড়িতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১২ হাজার ৯৪৯। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত নয় হাজার ৩৫০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং তিন হাজার ৬৩৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৮ দশমিক ০২ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৪০ জনের মধ্যে শূণ্য থেকে ১০ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব সাতজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন এবং ষাটোর্ধ্ব ২২ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে আটজন, খুলনা বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে দু্ইজন ও রংপুর বিভাগে চারজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৭ কোটি ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৭ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৫ কোটি ৮৭ লাখের বেশি।