প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পাঁচ দিনের সরকারি সফর শেষ করে আজ শনিবার বিকেলে আবুধাবি থেকে দেশের পথে রওনা হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি-১৩০২) একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ (স্থানীয় সময়) বিকেল ৫টায় আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে’।
সেসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী গত ৭ মার্চ উপসাগরীয় দেশটিতে পৌঁছান।
বাসস জানায়, এই সফরে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। পাঁচটি দলিল হল- বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং এমিরেটস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (ইসিএসএসআর) এর মধ্যে সহযোগিতার জন্য এমওইউ দুই দেশের বৈদেশিক পরিসেবা একাডেমি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার জন্য এফবিসিসিআই ও ইউএই চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং যিনি দুবাইয়ের শাসকও শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক গত ৯ মার্চ দুবাই প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী সকালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য এফএও আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দেন এবং সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের যৌথ আয়োজনে বিজনেস ফোরামে যোগ দেন।
১১ মার্চ তার সফরের শেষ দিনে, শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশী সম্প্রদায় আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন।