উদ্ভাবনী মনোভাব নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, গতানুগতিক কাজের বাইরে এসে দেশের উন্নয়নে এবং মানুষের কল্যাণে নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে হবে। উন্নতি করতে চাইলে উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘নাগরিক সেবায় উদ্ভাবনী পাইলট উদ্যোগ সমুহের ইনোভেশন শোকেসিং মেলা-২০১৯’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের করের টাকায় সরকারি কর্মচারিদের বেতন-ভাতা দেয়া হয়। জনগণের কাজে তাদের দায়বদ্ধতা অনেক। তাই পুরাতন পদ্ধতি, ধ্যান-ধারনা ও ট্রেডিশন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের উন্নতি এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সবাইকে এ কাজের সহযোগি হতে হবে। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। দেশের উন্নতি এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
নতুন উদ্ভাবনী চিন্তার বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্য বাড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানির পরিমান ৬০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারন করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
ইনোভেশন শোকেসিং মেলা-২০১৯ এ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ চা বোর্ড, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ৯টি উদ্ভাবনী বিষয় তুলে ধরা হয়।
মেলায় মাঠ পর্যায়ে চা বাগানের রোগ বালাই, পোকা মাকড়ের আক্রমণ শনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ, মোবাইল অ্যাপ দুটি পাতা একটি কুড়ি, টি রিসোর্ট অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ প্রচার সহজীকরণে ইউটিউব চ্যানেল, আমদানি রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও এলএম কার্যক্রমসহ ৯টি উদ্ভাবনী উদ্যোগের স্টল পরিদর্শন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন) ও চিফ ইনোভেমন অফিসার ড. মো. শাহ আলম প্রমুখ।