তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ সোমবার রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সোমবার সকালে সেখানে তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একইদিনে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, সৈয়দপুরে ২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ১৯৬৮ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২.৮ ডিগ্রী। আর সে হিসেবে আজ সোমবার বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরাজ করছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শীত পরিস্থিতি সর্ম্পকে আবহাওয়াবিদ আয়েশা খাতুন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘শীতের এ তীব্রতা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। তারপর আবার পড়বে শীত। জানুয়ারি মাসেই সম্ভাবনা রয়েছে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহের। গত কয়েকদিন ধরেই যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা প্রতিদিনই কমছে এবং তা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’
প্রচণ্ড শীতে উত্তরবঙ্গসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় শিশু ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়াসহ মৃত্যুবরণের ঘটনা ঘটছে। ঠান্ডা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ও ভর্তি হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, শ্রীমঙ্গল ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সন্দ্বীপ, সীতাকুন্ড, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে আরও দু’দিন।
বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে, পৌষ ও মাঘ (মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি) এই দুই মাস মিলে শীতকাল হলেও অক্টোবরের শুরু থেকেই এদেশে আসতে শুরু করে শীতের আমেজ। এ সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে বলে বাংলাদেশ ও এর পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে সূর্যের রশ্মি তির্যকভাবে পড়ে। ফলে কমতে থাকে তাপমাত্রা। অনুভূত হয় শীত।