খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন এবং দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রায় উন্নয়ন সাংবাদিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা। জিডিপিতে কৃষির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং কৃষি পণ্য ও কৃষকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
উন্নয়ন সাংবাদিকতার মাইলফলক, চ্যানেল আইয়ের হৃদয়ে মাটি ও মানুষের একযুগ পূর্তি উপলক্ষে উন্নয়ন সাংবাদিকতার ওপর সেমিনার এবং অনুষ্ঠান রূপকার কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের সম্মাননা অনুষ্ঠান আয়োজন করে বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেমিনারে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন সাংবাদিকতা এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশে উন্নয়ন সাংবাদিকতার পুরোধা শাইখ সিরাজ।
জাতীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কৃষকের অংশগ্রহণ, তাদের ক্ষমতায়ন এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্বের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশে কৃষি সাংবাদিকতার পথিকৃত শাইখ সিরাজ।
তিনি বলেন, যদি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয় বা ধরে রাখতে হয় তাহলে সরকারকে ভর্তুকি বাড়াতে হবে অথবা ম্যাকানাইজ এগ্রিকালচারে নিয়ে যেতে হবে।
গণমাধ্যমে কৃষকের মর্যাদা রক্ষা এবং কৃষিপণ্য ও কৃষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা।
অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী বলেন, যখন মাছগুলো লাফায়, যখন বিশাল সর্ষের ক্ষেত দেখি, যখন বিশাল সুস্থ গবাদি পশু দেখি, তখন খুব ভালো লাগে, মানুষ কিন্তু আনন্দিত হয়।
প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান বলেন, এই একটি অনুষ্ঠানই দেশের মানুষের জন্য প্রকৃতপক্ষে কাজ করছে। বাকিগুলো কোনো না কোনোভাবে বিনোদনমূলক। কোনো না কোনোভাবে কিছু খবর আমরা পাই, এরকম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মফিজুর রহমান বলেন, কৃষি সাংবাদিকতা করে কি সারভাইভ করা যায়, এটা করে কি পরিচিতি পাওয়া যায়? সেসব প্রথা ভেঙেচুড়ে যিনি নিজেকে অনেক উপরে নিয়ে এসেছেন তিনি শাইখ সিরাজ।
উন্নয়ন সাংবাদিকতায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে এবং অংশগ্রহণ বাড়াতে জাতীয় পর্যায়ে সভা সেমিনারের আহ্বান জানান বক্তারা।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: সবুর খান, বাংলাদেশের পানি বিশেষ করে মাটিযে অনেক ঊর্বর সেটা তিনি তার বক্তব্যে সবসময় বলেন।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইউসুফ এম ইসলাম বলেন, উনি যে কাজটি করেছেন সেটাই উদাহরণ। এভাবে চললে দেশ উন্নত হবে, মানুষ উন্নত হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডক্টর শাফিউল ইসলাম। সবশেষে শাইখ সিরাজের হাতে সম্মাননা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।