শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন: আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই তৈরি করতে হবে কল-কারখানার খুচরা যন্ত্রাংশ।
তিনি বলেন: প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশ যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেখানে টিকে থাকতে হলে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে হবে।
আজ বুধবার তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) প্রশাসনিক ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী।
এসময় নূরুল মজিদ বলেন: বিটাকের মাধ্যমেই তৈরি করতে হবে দেশের সবচেয়ে বড় ইঞ্জিনিয়ারিং শপ এবং উৎপাদন করা হবে কল-কারখানার খুচরা যন্ত্রাংশ।
শিল্পমন্ত্রী বলেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আমরা করোনা মহামারি জয় করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আজ দেশের অর্থনীতিতে জোয়ার এসেছে। আমাদের কৃষক শ্রমিকরা কেউ ঘরে বসে নেই, সবাই কাজ করছে।
তিনি বলেন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও অসংবাদিত নেতা। তিনি রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে ৭ই মার্চ স্বাধীনতার নির্দেশ এবং ১০ জানুয়ারি দেশ গড়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে মর্যাদার আসনে দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী।
তিনি আরও বলেন: বিটাকে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ এর মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, জীবনাচার, রাজনৈতিক দর্শন, নেতৃত্বগুণ, দেশপ্রেমসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ পাবে।
বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন: বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এই অব্যাহত অগ্রগতির মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এবং এর মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ছবি এবং প্রাসঙ্গিক বই দিয়ে সাজানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। এছাড়া ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সময়ের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে কর্নারের দেয়ালের একাংশ। আগ্রহী দর্শনার্থী ও পাঠকরা এই কর্নারে প্রদর্শিত বঙ্গবন্ধুর গৌরবান্বিত সংগ্রামী জীবন সংশ্লিষ্ট তথ্য চিত্র, ছবি, বই পড়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন।