রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ। জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থাকে বিদায় জানিয়ে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় প্রত্যয় উঠে এসেছে জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে।
বক্তারা বলেছেন, দেশকে অকার্যকর করতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে যে মিশন নেয়া হয়েছে তা কখনোই সফল হতে দেবে না বিশাল শিক্ষা পরিবার।
সকাল ১০টা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হয় জনসচেতনতামূলক এসব কার্যক্রম। প্রতিটি সমাবেশ থেকেই যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাদের পৃষ্ঠপোষক কিংবা মদদদাতা – তাদের ধিক্কার জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে। বক্তারা বলেছেন, জঙ্গিবাদের সঙ্গে যারা তাদের কখনোই ছাড় দেয়া হবে না।
জঙ্গিবাদের পেছনে যারা তাদেরও খুঁজে বের করার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বাংলাদেশকে টার্গেট করে ফায়দা লোটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ মানুষ জেগে উঠেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিজের সন্তান মনে করে তাদের গড়তে সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করতেও শিক্ষকদের প্রতি পরামর্শ দেয়া হয় এসব সমাবেশে।
ইডেন মহিলা কলেজ মাঠে প্যান্ডেলে ৫ হাজারের বেশি ছাত্রীর উপস্থিতিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আলেমসহ সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের সমাবেশে প্রধান অতিথি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, মানুষ হত্যা করে নয়, মানুষকে ভালবেসে ও রক্ষা করেই বেহেশত মিলে। কেউ সন্ত্রাস-জঙ্গি হয়ে জন্মায় না, পরিবেশ তা সৃষ্টি করে। তাই কেউ যাতে বিপথগামী না হয়, সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাখুয়া আদর্শ বিদ্যানিকেতনে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায়। সারাদেশে একযোগে শিক্ষাঙ্গনে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের অংশ হিসেবে সচেতনতামূলক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রংপুর সরকারী বেগম রোকেয়া কলেজে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, মসজিদের ইমাম, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অন্যরা। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারী কলেজসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যশোরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সভা ও প্রতিবাদ র্যালি করেছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সভা হয়েছে নড়াইলে। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রশাসক এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস।
বগুড়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি, সন্ত্রাস ও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র প্রতিহতের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আশরাফুল ইমাম রানা।
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা বিরোধি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সচেতনমূলক সভায় বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুুজ্জামান।