যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালন হয়েছে। মসজিদে মসজিদে মুসলমানরা রমজান মাসের শেষ জুমার নামাজ আদায় করেছেন।
খুতবায় বিদায় জানানো হয় পবিত্র রমজানকে। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনা থেকে মুক্তি এবং দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ কামনা করা হয়।
প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি শুক্রবার জুমার নামাজের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে মুসলমানদের কাছে। আবার অন্য এগারো মাসের জুমার চেয়ে পবিত্র মাহে রমজানের জুমার ফজিলত ও বরকত বেশি তাই জুমাতুল বিদা মুমিন মুসলমানের কাছে আবেগময়।
এ কারণেই রমজানের শেষ শুক্রবারের জুমার নামাজের প্রতি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আগ্রহ বেশি। সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে নামাজের অনেক আগে মুসল্লিরা আসতে থাকেন মসজিদে মসজিদে।
আজানের পর পরই মুসল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য নিজ নিজ জায়গায় বসে পড়েন। মুসল্লিদের জন্য খুৎবা চলতে থাকে। শেষ শুক্রবারের খুদবায় বিদায় জানানো হয় আত্মশুদ্ধি ও সংযমের এই মাসকে। উচ্চারণ হয় বিদায় হে মাহে রমজান।
রহমত, মাগফেরাত এবং নাজাতের মাসের শেষ শুক্রবারে নামাজ আদায়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মুসল্লিরা।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিবের ঈমামতিতে মুমিন মুসলমানরা জুমার ২ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করেন।
রুকু সেজদার পর সালাম ফিরিয়ে দু’হাত তুলে ধরেন আল্লাহ্’র দরবারে।
মোনাজাতে দু’হাত তুলে করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি রমজানকে বিদায় জানাতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন মুসল্লিরা।