চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দেখতে দেখতে মৃত্যু কিন্তু অনেক হলো

দেখতে দেখতে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। বিগত মাসগুলোর তুলনায় শনাক্ত ও মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও মোট মৃত্যু ধীরে ধীরে নতুন নতুন মাইলফলক স্পর্শ করছে।

দেশের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের ২৯৮তম দিনে করোনাভাইরাসে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৫৩১ জনের। তবে আশার কথা হচ্ছে সুস্থতার হার বিশ্বের অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশ ভাল। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জনে। আর এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন।

বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা চলছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কিছু দেশ তৃতীয় ধাক্কা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেইসঙ্গে করোনার নতুন প্রজাতির শঙ্কা মানবজাতির সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। যদিও বর্তমানে আবিস্কৃত ভ্যাকসিন সেসব সামাল দিতে সক্ষম বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে আসবো আসবো করছে। মহামারী রুখতে প্রথম ধাপে ভারতের সিরাম ইনিস্টিটিউটের প্রস্তুতকৃত অক্সফোর্ডের ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ ভ্যাকসিনের চালানটি দেশে এসে পৌঁছাবে। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন অনেকদিন আগে থেকে দেশে আসার রাস্তা তৈরি করে রাখলেও যুক্তরাজ্যে ওই ভ্যাকসিনের অনুমোদন জটিলতা থাকায়, কবে আসবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। আজ (৩০ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য ওষুধ প্রশাসন মানবদেহে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দেয়ায় সেই ধোঁয়াশা অনেকটাই কেটেছে।

দেশে মানুষের কর্ম ও জনজীবন নিয়মিত সময়ের মতো স্বাভাবিক। সাধারণ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে নেই কোনো বিশেষ বাধ্যবাধকতা। এরইমধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে এন্টিবডি তৈরি ও ভ্যাকসিন আসার খবর মানুষের মনে সাহস যোগাচ্ছে। আমাদের আশাবাদ, সবকিছু ঠিকভাবে চললে নতুন বছরের মধ্যে দেশ আবার তার স্বাভাবিক গতি ফিরে পাবে।