ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে প্রেট্রোলের আগুনে দগ্ধ হয়ে মা তাছলিমা খাতুন ও ১৮ মাস বয়সী মেয়ে তাছমিয়া মারা গেছে। অগ্নিদগ্ধ পরিবারের আরও ২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার গভীর রাতে নিয়ামতপুর ইউনিয়নের ফরাসপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম ওরফে চান আলীর বাড়িতে দূর্বৃত্তরা প্রেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে ওই ঘটনা ঘটে।
প্রেট্রোলের আগুনে চান আলী (৫৫), স্ত্রী তাছলিমা (৪৫), বড় মেয়ে উর্মি (২৫) ও ছোট মেয়ে তাছমিয়া ঝলসে যায়। রাতেই প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।
ঢাকায় আনার পথে মা তাছলিমা ও শিশু তাছমিয়া আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৫ টার দিকে মারা যায়। আশংকাজনক অবস্থায় চান আলীকে ঢাকায় এবং মেয়ে উর্মিকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত বড় মেয়ে উর্মি খাতুন জানায়, রাতে খাওয়ার পর প্রতিদিনের মতো পরিবারের সবাই এক ঘরেই ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর রাত ২টার দিকে দূর্বৃত্তরা ঘরের মধ্যে প্রেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরে সমস্ত কাপড় ও আসবাবপত্রে আগুন ধরে যায়। এতে পরিবারের সদস্যরা অগ্নিদগ্ধ হয়।
নিহতদের পরিবারের অন্য সদস্যরা জানায়, তিন বছর আগে যশোর শহরের লেবুতলার কামাল হোসেনের সঙ্গে উর্মির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কামাল যৌতুকের জন্য উর্মির ওপর প্রায়ই নির্যাতন করত। এতে কয়েক মাস আগে চান আলী মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ কারণে কামাল হোসেন গভীর রাতে তাদের ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।