টানা দুই ওভারে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। জাকির হাসানের পর ফিরে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করা জয় দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হন। নাজমুল হোসেন শান্তর স্ট্রেইট ড্রাইভ ফলো থ্রুতে হাত ছোঁয়ান টিম সাউদি। বল আঘাত করে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্পে। ক্রিজের বাইরে থাকায় দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয় জয়ের। ৪৬ বলে করে ফেরেন ৮ রান।
প্রথম ইনিংসের মতোই অ্যাজাজ প্যাটেলের শিকার হন জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন এ বাঁহাতি। এবার পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে হলেন এলবিডব্লিউ। জাকিরের ৩০ বলে ১৭ রানের ইনিংসে ছিল দুটি চারের মার।
সিলেটে টেস্টের তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির পর জাকিরের বিদায়ে ২৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ২৬ রানে বাংলাদেশ হারায় অপর ওপেনারকে। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে প্রথম সেশনের বিরতি পর্যন্ত ভালোই লড়ছিলেন দুই টাইগার ওপেনার।
পরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক জুটি গড়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ নিয়ে গেছেন পঞ্চাশের কাছে।
বাংলাদেশের চেয়ে ৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে বৃহস্পতিবার সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ৮ উইকেটে ২৬৬ থেকে তিনশ পেরোয় অনায়াসেই। কাইল জেমিসন ও টিম সাউদি নবম উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়ে লিড এনে দেন।
আগেরদিন ৪ উইকেট দখল করা তাইজুল পঞ্চম শিকারের দেখা পাননি। তৃতীয় দিনের দুটি উইকেটই শিকার করেন মুমিনুল। ২৩ করা জেমিসনকে এলবিডব্লিউ করেন এ বাঁহাতি পার্টটাইম স্পিনার। পরে কিউই অধিনায়ক সাউদিকে বোল্ড করে গুঁড়িয়ে দেন নিউজিল্যান্ডকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ নিরাপদে প্রথম সেশনের এক ঘণ্টা পার করে দুই ওপেনারে ভর করে। বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমে গিয়েছিল তিনশ পেরিয়ে। নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রেও হয়েছে এমনই। কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির পরও খুব বেশিদূর যেতে পারেনি কিউই দলটি।
টাইগার বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম চারটি ও মুমিনুল হক তিন উইকেট তুলে নিলে ১০১.৫ ওভারে ৩১৭ রানে গুটিয়ে যায় কিউই দল। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস থেমেছিল ৩১০ রানে।