বাদির জবানবন্দির কপি না পাওয়ায় জেরা করা সম্ভব নয় জানিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলেও আইনগত ভিত্তি নেই বলে তা নামঞ্জুর করেছেন আদালত। খালেদার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা এ আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন। দুর্নীতির দুই মামলায় বিশেষ জজ আদালতে বেগম জিয়ার উপিস্থিতিতে শুনানির সময় ওই আবেদনের আইনগত ভিত্তি না থাকায় তা অগ্রাহ্য করতে আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে ১৮ জুন পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন আদালত।
এর আগে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা আরেকটি আবেদন করেন। সেখানে বলা হয়, বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে আদালতে বাদির জবানবন্দি নেয়া আইনত: বৈধ হয়নি। সে কারণে সেই জবানবন্দি বাতিলের পক্ষে যুক্তি দেখান তারা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে সকালে বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তর প্যারেড মাঠের বিশেষ আদালতে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন। সকাল ১০টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে যাত্রা করেন তিনি। বিশেষ আদালতে পৌঁছান ১০টা ৫০ মিনিটে।
খালেদার আদালতে উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বকশীবাজার এলাকায় জড়ো হয়েছেন। আদালত এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তাকে জামিন দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দুদক আরেকটি মামলা করে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই।