পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক প্রমাণ করতে পারেনি বাংলাদেশ পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি করেছে। কারণ তাদের কাছে এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই যে তারা আমাদেরকে জানাবে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় নদীশাসন ও মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলারের মূল সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংকের টাকা নয়, নিজেদের অর্থায়নে কাজ করবো এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যখন বিশ্বব্যাংক আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো তখন আমাদের দেশের মানুষ ভেঙ্গে পড়েনি। এগিয়ে এসেছে, সাহস যুগিয়েছে সহযোগিতা করছে। দেশের মানুষের সহযোগিতায় সাড়া পেয়েই নিজেদের অর্থায়নে শুরু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্ম সেতুর কাজ।’
‘বাংলাদেশকে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ করার জন্য বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো সেসময়। আমরা বিজয়ী জাতি; কারো কাছে হার মানার জাতি নই। তখন মাথা নত করেনি নিজেদের অর্থে জনগণের সাহায্য নিয়েই কাজ শুরু করেছি। এবং কাজটি খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে বিশ্বাস করি। এজন্য দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে শুধু দেশ নয় আঞ্চলিকভাবে সহযোগিতা বাড়বে। অর্থনীতি আরো বেশি গতিশীল হবে। বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে বেশি উপকৃত হবে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশও এ সেতু দিয়ে পোট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। বিশ্বব্যাপী যখন নেটওয়ার্কের আত্ততায় চলে এসেছে। সেখানে বাংলাদেশও সেই নেটওয়ার্কের অংশীদার হচ্ছে এ সেতুর মধ্য দিয়ে।’
ধর্মের নামে মানুষ খুন বাংলাদেশে চলবে না এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কোনো জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র নয়। এখানে কোনো সন্ত্রাসীদের ঠাঁই হবে না। তাই ধর্মের নামে কোনো মানুষকে হত্যা করলে তাদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে এই মাটিতে।
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের সেবা করতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছি দুর্নীতি করতে নয়। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সব সেক্টরে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। যেখানে দেশে কোনো খাদ্যের, শিক্ষার ও কর্মসংস্থানের অভাব হবে না।’