দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আবারও শক্ত পদক্ষেপের পথে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এর আগে নানা কঠোর পদক্ষেপ দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের অনেকেও ছাড় পায়নি ওই অভিযানে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয়কারী বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় দুদক থেকে গত ১১ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি খুবই ইতিবাচক।
এর আগে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করে সম্পদ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে গত ডিসেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। সেকেন্ড হোম প্রকল্পের আওতায় বিদেশে বিনিয়োগ কিংবা বহুল আলোচিত পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস পেপার্সসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে যেসব বাংলাদেশিদের নাম উঠে এসেছে তাদের বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ওই চিঠিতে।
সাম্প্রতিক সময়ে পিকে হালদারসহ নানাজনের অপকর্ম বেশ আলোচিত। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে দেশের আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে নানা আদেশ-নির্দেশ প্রদান করা শুরু করেছে। নড়েচড়ে বসছে দুর্নীতি দমনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানও।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় এক হাজার ১৫১ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা।
এ ধরণের তথ্য খুবই চিন্তার দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে। নানা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খলাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে নানা সময়ে। আমাদের আশাবাদ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ মনিটরিং ও সুশাসন কায়েমে মনোযোগী হলে অবস্থার পরিবর্তন হবে।