ঘুষ নেননি। দিয়েছেন। এমন অভিযোগ মাথায় নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন জাপান অলিম্পিক কমিটির (জেওসি) প্রধান সুনেকাজু তাকেদা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে স্বাগতিক হতে আর্থিক উৎকোচ দেয়ার।
২০১৩ সালে মাদ্রিদ ও ইস্তাম্বুলের মতো শহরকে পেছনে ফেলে ২০২০ অলিম্পিকের স্বাগতিক হওয়ার দৌড়ে প্রথম হয় টোকিও। এরপরেই শুরু হয় কানাঘুষা, স্বাগতিক হতে ২ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ দিয়েছে জাপান। দেশটির অলিম্পিক কমিটির প্রধান হওয়ায় সমস্ত অভিযোগের তীর তাকেদার দিকে।
অভিযোগের খুঁটিনাটি তদন্ত করছেন ফ্রান্সের কৌঁসুলিরা। তবে দোষী কিনা সেটা প্রমাণ হওয়ার আগেই জেওসির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তাকেদা। অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষই দাবী করেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কোনো দোষ করিনি। কিন্তু এসব হইচই আমার মনে খুব ব্যথার সৃষ্টি করেছে। আমার উচিত ছিল মেয়াদের বাকী সময়টুকু সুষ্ঠুভাবে পার করে দেয়া।’
২০০১ সাল থেকে জেওসির প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তাকেদা। আগামী জুনেই শেষ হতো দায়িত্বের মেয়াদ। ২০১৬ সালে তদন্তের মাধ্যমে জাপান সরকারও ঘোষণা দিয়েছিল যে টোকিও অলিম্পিকে স্বাগতিক হতে কোনো প্রকার দুর্নীতির আশ্রয় নেননি তাকেদা।