এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে সৌদি আরব।
২০১৭ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া এ অভিযানে দেশটির কয়েকশ’ প্রিন্স, ধনকুবের ও ব্যবসায়ী পুলিশি ধরপাকড়ের শিকার হয়েছিলেন।
সৌদি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ অভিযানে নগদ অর্থ এবং সম্পত্তিসহ একশ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সম্পদ এই আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে ফিরিয়ে নিয়েছে সরকার। সম্পদগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এই কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে ৮৭ জন তাদের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে সরকার।
আটক অন্য ৮ জন এই সমঝোতায় রাজি না হওয়ায় তাদেরকে সরকারি আইনজীবীর কাছে মামলার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরাধের অভিযোগ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আরও ৫৬টি মামলার নিষ্পত্তি বাকি রয়েছে।
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ অভিযান শুরু করেছিলেন। ওই অভিযানে ২শ’রও বেশি প্রিন্স, মন্ত্রী এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আটকদের অনেককে সৌদির রাজধানী রিয়াদের পাঁচতারকা হোটেল রিজ-কার্লটনসহ বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়েছিল।
সৌদি আরবের অভিজাতদের বিরুদ্ধে এই নজিরবিহীন আকস্মিক অভিযানে সৌদিসহ হতবাক হয়ে যায় পুরো বিশ্ব।
এ অভিযান অবশ্য কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারীকেও দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শেষ করার পর এবার যুবরাজের প্রয়োজন দুর্নীতি বিষয়ক আইনে আরও স্পষ্টতা আনা ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করা যে, সৌদি আরবে বিনিয়োগ করা নিরাপদ।