নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অফিস থেকে চলে যান কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এমন মন্তব্য করে বোর্ডে সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থী, শিক্ষক আর অভিভাবকরা বলেছেন, সেবা পেতে হলে উৎকোচ যেমন দিতে হয় তেমনি পোহাতে হয় দুর্ভোগও।
বেলা পৌনে একটার দিকেই প্রতিটি তলার ৯৫ শতাংশ রুমই তালাবন্ধ। বোর্ডের কাছে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আর শিক্ষকদের এদিক সেদিক ছোটাছুটি। সেবা গ্রহণকারীরা বহু কষ্টে জানতে পায় ১টা থেকে শুরু হয় লাঞ্চ ব্রেক। শেষ হয় বেলা ২ টায়।
চলে অপেক্ষার প্রহর। কিন্তু ২টার বাজার পরেও যখন সব দরজা বন্ধ তখন হতাশা বেড়ে যায় অপেক্ষমানদের। কয়েকজন বলেছেন, এই চিত্র প্রতিদিনের। পৌনে তিনটার দিকে আসেন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক। রুমে ঢুকতে অপেক্ষা করতে হয় তাকেও।কারণ তার রুম যিনি খুলে দেবেন তিনিই নেই।
দফায় দফায় ফোন করার পর তিনটার দিকে আসেন তিনি। এতো কিছুর পরেও কর্মকর্তা কর্মচারীদের এই যে স্বেচ্ছাচারিতা তা মানতে নারাজ বোর্ডের চেয়ারম্যান।
সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বলছেন, তাদের হয়রানি কমাতে জরুরী ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: