সিলেট থেকে: সিলেট শহরের প্রবেশদ্বার সুরমা ব্রিজ পার হতেই চোখে পড়বে বিপিএলের ব্যানার, ফেস্টুন। শহরের মোড়ে মোড়ে হরেক প্রচারণা। ক্রীড়াপ্রেমি সিলেটবাসীর কাছে প্রথমবারের মতো স্বপ্ন হয়ে এসেছে বিপিএল। এ নিয়ে গর্ব করতে পারলেও উপভোগের সুযোগ সামান্যই। সাধারণ মানুষ টিকিট পাচ্ছেন নামমাত্র। জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাদের।
পরিস্থিতি বলছে, বিপিএল দেখতে সিলেটের যতো মানুষ মুখিয়ে আছেন তার এক ভাগও মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারবেন না। টিকিট যেন সোনার হরিণ। ১৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সাধারণ দর্শকদের জন্য ১২ হাজার টিকিট বরাদ্দের কথা থাকলেও কাউন্টারে রাখা হয়েছে তার অর্ধেকেরও কম। স্থানীয় নেতা, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক, সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছেই চলে গেছে লাইনে দাঁড়ানো সাধারণ দর্শকদের টিকিট। টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনের উপর হামলার চেষ্টাও হয়েছে।
তাদের ওই ‘দুধের স্বাদ’ দিতে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বসাচ্ছে তিনটি জায়ান্ট স্ক্রিন।
সুরমা নদীর ওপারে বসবে একটি। এপারে জেলা স্টেডিয়াম, আম্বরখানাতে স্থাপন করা হবে আরও দুটি জায়ান্ট স্ক্রিন।
এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘আমরা দেখছি টিকিটের জন্য দর্শকরা কেমন হাহাকার করছেন। এর কারণ এখানে মানুষ খুব একটা খেলা দেখার সুযোগ পান না। এবার তারা সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ম্যাচ খুব কম। বাস্তবতা হল এত টিকিট তো আমাদের দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১৮ হাজার। তাই খেলাপাগল দর্শকদের কথা ভেবে আমরা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা সুরমা নদীর ওপারে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করছি। এছাড়া শহরের ভেতর আরও দুটি স্পটে খেলা দেখানো হবে।’
ছবি: সাজ্জাদ খান।