আলোচনায় এসেছিলেন হঠাৎ করেই। বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজশাহী কিংস যখন তাকে দলে টানল। এরপর ঘাটতে যেয়ে জানা গেল, অপার সম্ভাবনাময় তিনি! বয়সভিত্তিক দলে ব্যাটে ঝড় তুলতে পটু। জানাটা চোখের সামনে এলো বিপিএলে খেলতে নামার ম্যাচেই। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের লড়াইয়ে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট। কিন্তু তিনি সবার আগে তো ব্যাটসম্যান। আফিফ হোসেন ধ্রুব অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে সেটা প্রমাণ করতে শুরু করেছেন। বাজিমাত করাটা ধরে রেখেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও। তিন ম্যাচ খেলেই তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। যার শেষটি এলো সোমবার।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকেই ১০৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন আফিফ। তৃতীয় ম্যাচে বাইশগজ মাতালেন ১৩৭ রানের দর্শনীয় ইনিংস দিয়ে। ছাড়িয়ে গেলেন আগেরটিকে। পূর্বাঞ্চলের হয়ে বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ডে এসেছে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটি। আফিফ নিজের ইনিংসটি ২৩৮ বলে ১৭ চারে সাজিয়েছেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ-অধিনায়ক ১৭ বছরের এই তরুণ সেঞ্চুরির পর চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন তৃপ্তির কথা, ‘রাজ্জাক ভাই, আল-আমিন ভাইদের মতো অভিজ্ঞ বোলারদের খেলেছি, খুব ভালো লাগছে তাদের মতো অভিজ্ঞদের বিপক্ষে এমন একটি ইনিংস খেলতে পেরে। চেষ্টা করেছি মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে। ইনিংসটাকে লম্বা করতে। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।’
তৃপ্তি মিললেও সন্তুষ্টির বেড়াজালে আটকে পড়তে চান না আফিফ। অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে যে। সেজন্য রানের ক্ষুধাটা ধরে রাখতে চান। যত বেশি সম্ভব রান করে যেতে চান। ভবিষ্যতে হয়তো আরো দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেবে তার ব্যাট। তার আগে বিসিএলের দুটি সেঞ্চুরিকে আলাদা করে দেখতে পারলেন না আফিফ, ‘দুটি সেঞ্চুরিই স্পেশাল। প্রথমটা অভিষেক ম্যাচে ছিল। এবার দলের প্রয়োজনের সময় এলো। দুটি সেঞ্চুরিই আমার কাছে স্পেশাল।’
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আফিফের শতকের দিনে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন তাসামুল হক। ৯৮ রানে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় দিন শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান তুলেছে পূর্বাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণাঞ্চল করেছিল ২৯৬ রান।
অলক কাপালি ২৬ ও ইয়াসির আলি ১ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন।
নাজমুল ইসলাম অপু নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আল আমিন হোসেন ও জিয়াউর রহমান।
আগের দিনে ৪ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ও ইমতিয়াজ হোসেন। ২১ রানের মাথায় ইমতিয়াজকে (১৩) এলবিডব্লিউয়ে সাজঘরে পাঠান পেসার আল-আমিন। পরে দক্ষিণাঞ্চলের বোলারদের ঘাম ঝড়িয়ে ছাড়েন আফিফ-তাসামুল জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে যোগ করেন ২২২ রান।