লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা রহস্য উদঘাটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে সিআইডি পুলিশ। তাদের ভাষ্য মতে, হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে দেড় মাস আগে। হত্যাকারীরা পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও একই আদর্শে বিশ্বাসী।
সিআইডি বলছেন, বগ্লার অনন্তের হত্যাকাণ্ডে ৫ জন অংশ নিয়েছিলো। এর মধ্যে ২ জন কুপিয়ে হত্যা করে। অপর ৩ জনের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলে কেউ যাতে না আসতে পারে, সেই দায়িত্ব পালন করেছে। অপরজন মোবাইল ফোনে হত্যাকাণ্ডের পুরো দৃশ্য ভিডিও করে।
যদিও সিআইডি সবিমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ জন গ্রেফতার করেছে। আরো কয়েকজনকে বিজয় হত্যায় শ্যোন এরেস্ট দেখানোর আবেদন করেছে।
বৃহস্পতিবার র্যাব রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাকৃতরা হচ্ছেন, আবুল বাশার, জুলহাস বিশ্বাস ও জাফরান আল হাসান। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দী এবং সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে অনন্ত বিজয় হত্যার পুরো রহস্য।
গত ১২ মে মঙ্গলবার সকাল সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকার নূরানী পুকুরপাড়ে অনন্ত বিজয়কে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন অনন্ত বিজয়। এরপর কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন পূবালি ব্যাংকে।
হত্যাকাণ্ডের পর অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অনন্ত’র ভাই রত্নেশ্বর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত চলছে ঢাকার মালিবাগে অবস্থিত সিআইডি সদর দফতর থেকে।