মিরপুর টেস্টে ঝলমলে ব্যাটিং যাত্রাটা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে বোলারদের খাটিয়ে মুমিনুল হকের পর সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। তাদের দুইশ পেরোনো জুটিতে লিড পেরিয়ে গেছে একশর ঘর।
সোমবার লাঞ্চ বিরতির আগের ওভার। চতুর্থ বলে চার মেরে মুশফিক পৌঁছে যান ৯৯ রানে। শেষ দুটি ডেলিভারিতে থাকলেন সাবধানী। মধ্যাহ্নভোজ বিরতি থেকে ফিরে আর অপেক্ষা বাড়ালেন না। সেঞ্চুরি ছুঁলেন দ্বিতীয় ওভারেই। এইন্সলের বল বাউন্ডারিতে ঠেলে তুললেন সপ্তম টেস্ট শতক। ১৮ চারে ১৬০ বলে তিনঅঙ্ক ছুঁয়েছেন মুশি।
মুশফিকের আগে লাঞ্চ বিরতিতে মুমিনুল গেছেন শতক ছুঁয়েই। ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে আসা টাইগার অধিনায়ক পেসার ত্রিপানোকে লংঅনে বাউন্ডারি ছাড়া করে ১৫৬ বলে পৌঁছান ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরিতে। পথে ছিল ১২টি চার।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মুমিনুল ও মুশফিকের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটি এগোচ্ছে বেশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২২৪ রানের যৌথ প্রযোজনা দুজনের। মুমিনুল ১৩২ ও মুশফিক ১২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
শতকের পথে জুটির রেকর্ডে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে ছাড়িয়ে গেছেন মুমিনুল-মুশফিক। টেস্টে দুটি করে দুইশ রানের জুটি ছিল তামিম-ইমরুল ও মুমিনুল-মুশফিকের। তাদের ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল ও মুশফিক। দুজনের পাশে এখন তিনটি করে দুইশ রানের জুটি। আর সাদা পোশাকে দশমবারের মতো দুইশ বা তারচেয়ে বড় জুটি দেখল বাংলাদেশ।
১৪ ইনিংস পর শতক ছোঁয়া মুমিনুল দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডও ছুঁয়েছেন। এতদিন ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে তামিম ছিলেন উপরে, মুমিনুল বসলেন দেশসেরা ওপেনারের পাশে। তামিম ১১৫ ইনিংস খেলে নয় সেঞ্চুরি করেছিলেন, মুমিনুলের অবশ্য লাগল কেবল ৭৪ ইনিংস।