সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে দুই সাংবাদিককে চিঠি দিয়ে তলব করার প্রতিবাদে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সামনে দ্বিতীয় দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সংবাদকর্মীরা। তবে দুদক বলছে, সাংবাদিকরা যেহেতু সময়মত হাজির হননি সেহেতু চিঠির বৈধতা নেই।
দুদক বলছে: ২৬ জুন দুদকে সাংবাদিকরা উপস্থিত হননি এবং একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিলেও অপরজন অংশ নেননি, কাজেই ২৬ তারিখের চিঠির বৈধতা আর নেই।
পরবর্তীতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করতে হলে নতুন করে চিঠি রিইস্যু করতে হবে তদন্ত কর্মকর্তাকে।
এর আগে বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে জানানো হয়, বুধবারের মধ্যে দুই সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তলব করে পাঠানো দুদকের চিঠি প্রত্যাহার না হলে বৃহস্পতিবার থেকে দুদক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
চিঠিতে এই অমর্যাদাকর ভাষা ব্যবহারের দায়িত্ব দুদক চেয়ারম্যানও এড়াতে পারেন না বলেও জানান সাংবাদিক নেতারা।
মঙ্গলবার সাংবাদিক দীপু সারোয়ার ও সাংবাদিক ইমরান হোসেন সুমনকে তলব করে অমর্যাদাকর ভাষায় পৃথক পৃথক চিঠি পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে। অন্যথায় আইনানুগ কার্যধারা গৃহীত হবে।
বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ পাওয়ার পরে ওই চিঠি দুটির বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক। দুই সাংবাদিককে ফরমেটের বাইরে গিয়ে দুই ভাষায় কেনো চিঠি লেখা হলো, তার কারণ দর্শাতে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাকে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে দুদক কর্তৃপক্ষ।