পরিবেশের ক্ষতির জরিমানা হিসেবে হাজারীবাগের ১৫৪ ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট এর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে ব্যর্থতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে শিল্পসচিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।
সেই আলোকে শিল্পসচিব প্রতিবেদন আকারে ব্যাখ্যা দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায় গত আগস্ট মাসে ১৫০টি কোম্পানি ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র চারটি ও অক্টোবর মাসে তিনটি কোম্পানি টাকা জমা দেয়।
ট্যানারি মালিকদের কাছে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ১৬ জুন বিচারপতি সৈয়দ মোহম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ট্যানারি মালিকদের পরিবেশের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রদানের নির্দেশ দেন।
পরে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।
ওই আবেদনের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জরিমানার সিদ্ধান্ত ঠিক রেখে টাকার পরিমাণ কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করে ধার্য করে দেন।