কী হতে হচ্ছে? কী হবে? এমন অসংখ্য প্রশ্ন আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে বুধবার দিনের শেষ প্রহরের অপেক্ষা করছে সারাদেশের জনগণ। তাদের এসব প্রশ্ন মূলত দুই প্রধান দলের দুটি সংবাদ সম্মেলন। বিকেল আর সন্ধ্যায় হতে যাওয়া দু’টি সংবাদ সম্মেলনের দিকে যেন তাকিয়ে আছে পুরো দেশ।
রাজনীতি সচেতন মানুষের ধারণা এই দুটি সংবাদ সম্মেলনের আলোচনা এবং ঘোষিত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে রাজনীতিসহ দেশের সার্বিক ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির অনেক কিছু। পাল্টে যেতে পারে বর্তমান পরিস্থিতির অনেক কিছুই।
সংবাদ সম্মেলন দু’টির প্রথমটা বিএনপি’র, আর পরেরটা আওয়ামী লীগের।
বুধবার বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনটি হতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের খবরটি নিশ্চিত করেন চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় এবং সেই রায়কে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন আহ্বানের মধ্যেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে ওবায়দুল কাদের কী নিয়ে সম্মেলনে কথা বলবেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, কয়েকদিনে বিএনপির ১১ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। আর বিকেলের মধ্যে তা বেড়ে ১২’শ এর কাছাকাছি চলে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।