চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দুই শতাধিক ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ বিএনপির

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দুই শতাধিক ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ করেছে বিএনপি। দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এমন অভিযোগ করেন মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের বের করে দেয়া, গণগ্রেপ্তার সবকিছু চলছে। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক কেন্দ্র দখলে নিয়ে নৌকায় সীল মারছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীর ভূমিকায় আছে পুলিশ। নির্বাচন কমিশন নিরব, নিস্তব্ধ, নিথর। এই কমিশন বিবেক বিবর্জিত। সরকারি চাকুরে।

রিজভী বলেন, এতো অনিয়ম সত্ত্বেও আমরা অপেক্ষা করবো। এখনো যে সময় আছে তাতে ভোটারেরা যেতে পারবো কিনা তা দেখবো। আমরা ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।

তিনি বলেন, সরকার চায় একটি নতুন বাকশাল কায়েম করতে। এখানে গণমাধ্যম থাকবে, বাক স্বাধীমতা থাকবে কিন্তু কথা বলতে হবে তাদের। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের অংশগগ্রহণ হলো গণতন্ত্রের কিছুটা হলেও ধারা বজায় রাখার চেষ্টা।

বিএনপি নেতা বলেন, বিবেক বির্জিত নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে ভোটারদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এই কমিশন ভোটারদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। এতো কথা বললো। এতো প্রতিশ্রুতি দিলো কিন্তু কথা রাখলো না। সরকারের চাকরিজীবী হয়েছে এই কমিশন। শিক্ষিত মানুষ কিভাবে এমন নোংরামি আচরণ করতে পারে তার উদাহরণ এই সিইসি।

রিজভী বলেন, কমিশন বলেছিলেন, খুলনার মত হবে না। কিন্তু খুলনার চেয়ে আরো ভয়াবহ হচ্ছে। এটা করতে গিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তার জন্য জনগণের কাছে জবাবদীহি করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এই মার্কা নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী গুম হবে, এজেন্টদের আটক করা হয়। এই অনাচারের বিভিষীকা হলো শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন। প্রত্যেকটি নির্বাচনে সরকার ভোটারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কারণ তার তো ভোট দরকার নেই। তার দরকার গণতন্ত্রের লেবাস। তাই জাল ভোট মেরে নির্বাচিত হতে চায়। এই নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে না। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা জনগণের সঙ্গে এমন আচরণ করেছে।