নিউজিল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের কক্ষে দুই মাস ধরে পরে ছিল এক ছাত্রের লাশ। পঁচে গন্ধ বের হলে সোমবার রাতে সবার নজরে আসে বিষয়টি।
দেশটির ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনোদা হলে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে গার্ডিয়ান জানায়, ক্রাইস্টচার্চে অবস্থিত সনোদা হলের শেষ কোণায় অবস্থিত একটি রুমে থাকতেন ওই শিক্ষার্থী। সচরাচর কেউ ওই দিকে যেতো না। এমনকি পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও ওই দিকে তেমন কাজ করতেন না। তাই বিষয়টি কারো নজরে আসেনি।
কিন্তু সোমবার রাতে অন্য শিক্ষার্থীরা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এর আগে তার বাবা বন্ধুদের মাধ্যমে তার খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে জানান।
মরদেহ উদ্ধার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ব্যাপকভাবে পঁচে যাওয়ায় তা সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্যোগকালীন উদ্ধারকারী পরিচয় নিশ্চিতের জন্য হাতের ছাপ, ডিএনএ এবং দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করেছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস এক বিবৃতিতে বলেন, ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি খুব দুঃখজনক। তার পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই সময়টি তাদের জন্য অনেক কষ্টের।
তিনি বলেন, শিক্ষা কমিশনকে আমি এ বিষয়ে যথাযথ সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে বলেছি। এই ঘটনা অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমি আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর যথাযথ তদন্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি সব শিক্ষার্থীর জন্য কাউন্সেলিং সেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।