চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

দুই বিদেশী হত্যায় যোগসূত্র

রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক এবং রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

ঢাকার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, টাভেলা হত্যাকাণ্ডে তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল এবং এনজিওর অর্থায়নের সূত্রগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে এখনও কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়নি গোয়েন্দা পুলিশ।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর কূটনীতিক পাড়ার পুলিশের কড়া নজরদারি নিরাপত্তার মধ্যেই রাজধানীর গুলশানে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইটালির নাগরিক টাভেলা সিজার।

ডিবি ওই মামলার তদন্ত করলেও ছায়া তদন্তে আছে সিআইডি এবং র‌্যাব। প্রথম থেকেই সম্ভাব্য কারণের মধ্যে আছে জঙ্গি সম্পৃক্ততা।

ডিএমপি পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সিজার যে এনজিওর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ছিলেন, নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সেই ইন্টারচার্জ কো-অপারেশনের কর্মক্ষত্র রংপুর ও কুড়িগ্রাম।

সিজার খুন হন সন্ধ্যায় আর এক সপ্তাহের মধ্যে শনিবার একই স্টাইলে দিনের আলোয় রংপুরে খুন হলেন জাপানি নাগরিক ও এনজিও কর্মী হোসি কোনিও। তাই দুই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজছেন গোয়েন্দারা।

আছাদুজ্জামান মিয়া আরো বলেন, গুলশানে ডিপ্লোমেটিক প্রটেকশান ডিভিশনের কোনো গাফিলাতির সুযোগে হত্যাকাণ্ড কি না জানতে গুলশান অপরাধ বিভাগের ডিসিকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করেছে ডিএমপি।