ম্যাচের ৬৭ মিনিট। স্বাগতিক রিয়াল সোসিয়েদাদের দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফেরানোর উল্লাসে রেফারির আঙুল দেয়া। পরে ভিএআর সাহায্য। গোলটা বাতিলই করে দিলেন রেফারি। স্বস্তি অতিথি রিয়াল মাদ্রিদ ড্রেসিংরুমে। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়ে রাখল বিতর্কের। বেনজেমার ম্যাচজয়ী গোলেও পরে ভিএআর চেক করতে হয়েছে হ্যান্ডবল সন্দেহে! এবারও সিদ্ধান্ত যায় রিয়ালের দিকেই।
দূর থেকে দারুণ শটে জাল খুঁজে নিয়েছিলেন রিয়াল সোসিয়েদাদের আদনান ইয়ানুজাই। সতীর্থ মিকেল মেরিনো বক্সের কাছে অফসাইডে ছিলেন বটে, কিন্তু বল জালে জড়ানোর আগে তিনি কোনো স্পর্শ দেননি গোলাকার বস্তুটিতে। বেরসিক রেফারি তবুও গোলটা দেননি। ভিএআর নাটক করেও!
ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ গোলে ও একটি গোল হজম করেও বিপদ ঘটেনি রিয়াল মাদ্রিদের। রিয়াল সোসিয়েদাদকে তাদেরই মাঠে ১-২ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
দুরাত আগে মেসি-সুয়ারেজের বার্সেলোনা ড্র করেছিল সেভিয়ার বিপক্ষে, পয়েন্ট খুইয়ে রিয়ালকে সুযোগ করে দেয়, সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। লিগ টেবিলের শীর্ষে এখন তারা।
রোববার রাতের জয়ে সার্জিও রামোস ও করিম বেনজেমার গোলে ৩০ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্টে শীর্ষে এখন রিয়াল। ৬৫ পয়েন্ট বার্সেলোনারও, তবে মৌসুমের মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবে এগিয়ে টপার মাদ্রিদিস্তারা।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর বিরতি কাটিয়ে ফিরে ম্যাচের ৫০ মিনিটে রামোস স্পটকিকে গোল এনে দেন। মার্সেলোকে ফাউল করেছিলেন স্বাগতিকদের ডিয়েগো লরেন্তে। পেনাল্টি দেন রেফারি। মৌসুমে সপ্তম ও লা লিগা ইতিহাসে ডিফেন্ডার হিসেবে সর্বোচ্চ ৬৮তম গোলটি করেন রামোস।
খানিক পরে রামোস পায়ে চোট নিয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন। ৬৮ মিনিটে স্বাগতিকদের গোলে রেফারির প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত। দুমিনিট পরেই দ্বিতীয় গোলটি করে বসে রিয়াল। ভালভার্দের বাড়ানো বলে জাল খুঁজে নেন বেনজেমা। মৌসুমে তার ১৭তম লিগ গোল।
এই গোলের সঙ্গে সঙ্গেই ওঠে হ্যান্ডবলের জোরাল আবেদন। রেফারি ভিএআরে চোখ দেন। কাজ হয়নি, রিয়ালের দিকেই থাকে সিদ্ধান্ত। বলা হয় বেনজেমার হাতে নয়, কাঁধের নিচের দিকে লেগেছে বল। চলতে থাকে বিতর্ক!
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে উত্তেজনা। ব্যবধান কমিয়ে বসে স্বাগতিকরা। মিকেল মেরিনো এক গোল ফিরিয়ে দেন। পরে অবশ্য আর বিপদ ঘটতে দেয়নি রিয়াল। তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। উঠে গেছে টেবিলের শীর্ষে।