বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। সেরা চারে খেলতে হলে বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে সাকিব আল হাসানদের দলকে। নইলে বিদায়ঘণ্টা বাজবে প্রথম রাউন্ডেই।
টি-টুয়েন্টিতে ১২৭ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করা কঠিন। প্রতিপক্ষ যখন আফগানিস্তান, তখন সেটি তো আরও। তবু আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। শারজাহ স্টেডিয়ামের উইকেট স্পিনারদের দিচ্ছিল দারুণ সুবিধা। তাতে আফগান ব্যাটারদেরও রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। বিশেষ করে সাকিব-মেহেদীর বলে।
লো-স্কোরিং ম্যাচে শেষ ৪ ওভারে ৪৩ রান দরকার ছিল আফগানিস্তানের। মোস্তাফিজুর রহমান দুই ওয়াইড ও দুই ছয়ে দেন ১৬ রান। পরের ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি করে চার-ছয়ে দেন ২২ রান। শেষ ২ ওভারে তখন আফগানদের দরকার মাত্র ৪ রান।
সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদী হাসান কোটা শেষ করেন আগেই। মোসাদ্দেক হোসেনও দারুণ বোলিং করছিলেন। ২ ওভারে ৫ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বোলিংয়েই আনেননি সাকিব। ডেথ ওভারে সাকিবের পেস-নির্ভরতা ডোবায় দলকে।
ইব্রাহিম জাদরান ৪১ বলে ৪২ ও নাজিবউল্লাহ জাদরান ১৭ বলে ৪৩ রানের ঝড়ে এনে দেয় ৭ উইকেটের জয়। নাজিবউল্লাহ চার মারেন মোটে একটি। ছয়ের মার ছয়টি। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৬৯ রান।
আশা দেখিয়ে শেষটায় স্রেফ উড়ে গেছে বাংলাদেশ। ৯ বল হাতে থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় আফগানরা। মোহাম্মদ নবীর দল জানান দিলো তারা শুধু গ্রুপের ফেভারিটই নয়, টুর্নামেন্ট জয়েরও দাবিদার। যেভাবে শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশকে হারিয়েছে তারা, তাতে এ কথা বলাই যায়।
নেতৃত্বে ফেরার ম্যাচে টস ভাগ্য সঙ্গী হয়েছিল সাকিবের। নিজের ১০০তম আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি অবশ্য রাঙাতে পারেননি আগে ব্যাটিং করে।
শুরুর ৪ ব্যাটারের মধ্যে দুই ডিজিট ছুঁতে পারেন কেবল সাকিব। অধিনায়ক টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৯ বলে ১১ রান করে ফেরার পর মুশফিকুর রহিমও আউট। ৬.২ ওভারে তখন ৪ উইকেটে সংগ্রহ মোটে ২৮ রান। পাওয়ার প্লে’তে আরও একবার ব্যর্থ বাংলাদেশকে পথ দেখান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
৩১ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মোসাদ্দেক এনে দেন মাঝারি পুঁজি। দুর্দান্ত বোলিং শক্তির আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৭ বলে ২৫, শেখ মেহেদী ১২ বলে ১৪ ও আফিফ হোসেন ১৫ বলে করেছেন ১২ রান।
শুরুর ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা থামিয়ে দেন মুজিব উর রহমান। পরে রশিদ খানকে সামলাতেও বেগ পেতে হয়। বিশ্বসেরা লেগ স্পিনারও নেন ৩ উইকেট।